ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টাস ইউনিটের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ঝিনাইদহ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালত। ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টাস ইউনিটের সভাপতি আব্দুস সামাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) আদালতের দেওয়া কার্যবিধির ১৪৪ ধারা মতে পুলিশ নোটিশ প্রদান করে এই আদেশ জারী করেন।
এসময় বিবাদী পক্ষের জিল্লুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম মল্লিক, এটিএম ওহেদুজ্জামান, সাহিদুল এনাম পল্লব, মাহবুবুর রহমান, শাহিদুর রহমান সন্টু, ওমর আলী সোহাগ ও মেহেদী হাসান কনকসহ ১৪/১৫ জনকে রিপোর্টাস ইউনিটের নামে কার্যক্রম পরিচালনা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা জারি করেন।
এদিকে জেলা রিপোর্টাস ইউনিটের নির্বাচন নিয়ে চারিদিকে যখন সাজসাজ রব, প্রচার প্রচারণা যখন তুঙ্গে তখন এধরণের নিষেধাজ্ঞা সবাইকে হতভম্ব করেছে।
আদালতে দাখিল করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, আব্দুস সামাদ জেলা রিপোর্টাস ইউনিটের সভাপতি। কিন্তু একই নামে আরেকটি সংগঠন খুলে বাদীর সুনাম ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। একই নামে দুইটি সংগঠন করা অধিকার নেই বিবাদীগনের। গত ১৩ ফেব্রয়ারি বিবাদীগন বাদীর অফিসে গিয়ে হুমকী প্রদান করেন এবং খুন যখমের হুমকী দেন। বাদী আব্দুস সামাদ শান্তি শৃংখলা রক্ষায় শোকজ ও ১৪৪ ধারা জারির আর্জি করেন।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ ফাড়ির এসআই খায়রুজ্জামান বলেন, ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টাস ইউনিটের সকল প্রকার কার্যক্রমে কার্যবিধির ১৪৪ ধারা মতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আদালতের পরবর্তী ধার্য্য তারিখে বিবাদীগন হাজির হয়ে ব্যাখা প্রদান ও অভিযোগটি নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টাস ইউনিটের নামে ঘর খুলে কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না।
তিনি বলেন কেও ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টাস ইউনিটের নামে ঘর খুলে কাযক্রম পরিচালনা করার চেষ্টা করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আরো পড়ুনঃ থানায় মামলা করায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ : পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক
তারিক/জনপ্রিয়